নাফিস জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতিএকুশে পদকপ্রাপ্ত সৈয়দ মইনুল হোসেনের ভাগ্নে।
২০০৭ সালে তরুণ বাংলাদেশী অ্যানিমেটর নাফিস বিন জাফর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পুরস্কার পেয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজেকে অমর করে রাখেন। নাফিস বিন জাফর আবারও অস্কার জিতলেন। ‘হাউ টু
ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন টু’
ছবিতে বিধ্বংসী ইফেক্টস তৈরির জন্য কারিগরি বিভাগে আরউইন কওম্যানস ও
স্টিফেন মার্শালের সঙ্গে এ
বছর যৌথভাবে অস্কার জিতেছেন বাংলাদেশী তরুণ অ্যানিমেটর নাফিস। গত ৮
জানুয়ারি চিঠির মাধ্যমে নাফিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন ‘একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস’ স।
উল্লেখ্য এর আগে ২০০৭ সালে ‘পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান:
অ্যাট ওয়ার্ল্ডস এন্ড’ ছবির জন্য অস্কার জিতেছিলেন এই তরুণ অ্যানিমেটর।
নাফিস বর্তমানে চীনের সাংহাইতে ওরিয়েন্টাল ড্রিম ওয়ার্কসে অ্যানিমেশন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন। বেভারলি উইলশায়ার হোটেলে ২০০৮ সালের ৯ফেব্রুয়ারি অস্কার পুরস্কার অনুষ্ঠানে তার হাতে এই'সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাওয়ার্ড' তুলে দেওয়া হয়। নাফিস বিন জাফর ছাড়াও ডিজিটাল ডোমেইনে ফ্লুইড সিমুলেশনপদ্ধতির উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে আরও দুজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান নাফিস ১৯৭৮ সালের ৮ই অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে ১৯৮৯ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ
ক্যারোলিনারচার্লসটনে চলে
যান। নাফিস বিন জাফরের বাবা জাফর বিন বাশার ও মানাফিসা জাফর। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী। কলেজ অব চার্লসটন থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকডিগ্রি অর্জন করেন। এ পর্যন্ত তিনি হলিউডের কয়েকটি ফিল্মে কাজ করেছেন। এর মধ্যেরয়েছে 'পার্সি জ্যাকসন অ্যান্ড অলিম্পিয়ানস : দ্য লাইটিং থিফ', 'দ্য সিকার : দ্য ডার্কইস রাইজিং', 'ফ্লাগস অব আওয়ার ফাদার', 'স্টিলথ'। নাফিস জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতিএকুশে পদকপ্রাপ্ত সৈয়দ মইনুল হোসেনের ভাগ্নে এবং বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তফামনোয়ারের নাতি।
No comments:
Post a Comment